ঢাকা,বুধবার 01 May 2024, ১৮ বৈশাখ ১৪৩০, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

রুম্পার কথিত প্রে‌মিক  চারদিনের রিমান্ডে

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মৃত্যুর ঘটনায় তার কথিত প্রেমিক আবদুর রহমান সৈকতের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সৈকতকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস। শুনানি শেষে ঢাকার মে‌ট্রোপ‌লিটন ম্যা‌জি‌স্ট্রেট মো. মামুনুর র‌শিদ এই রিমান্ড মঞ্জুর ক‌রেন।

এর আগে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার সকালে সৈকতকে গ্রেফতার দেখায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

সৈকত স্বীকার করেছেন, রুম্পা তার প্রেমিকা। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় রুম্পার সঙ্গে তার কথা হয়। 

ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের বিষয়ে আকতারুজ্জামান ইলিয়াস আদালতকে জানান, রুম্পা ও সৈকতের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু দিন দিন তাদের সম্পর্কে অবনতি ঘটে। গত ৪ ডিসেম্বর বিকেলে তারা স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বাইরে দেখা করেন। তখন কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলেন সৈকত। রুম্পা বারবার অনুরোধ করলেও সৈকত সম্পর্ক রাখতে রাজি হচ্ছিলেন না। এ নিয়ে দুজনের মনোমালিন্য ও বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। এর জেরে ওই দিন রাত পৌনে ১১টায় সৈকত তার কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে রুম্পাকে ৬৪/৪ সিদ্ধেশ্বরীর বাড়ির ছাদে নিয়ে যান। একপর্যায়ে রুম্পাকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেন। এটাই প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ কারণে তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে রুম্পার লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

রুম্পার বাবা মো. রুকুন উদ্দিন হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক হিসাবে কর্মরত। মা নাহিদা আক্তার পারুল গৃহিণী। এক ভাই ও এক বোনের রুম্পা সবার বড়। রাজধানী ঢাকার শান্তিবাগে একটি ফ্ল্যাটে মায়ের সঙ্গে থেকে পড়াশোনা করতেন তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করাতেন রুম্পা।

পারিবারিক সূত্র জানায়, রুম্পা টিউশনি করে সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন। পরে কাজ আছে বলে বাসা থেকে বের হন। বাসা থেকে নিচে নেমে তার ব্যবহৃত মোবাইল ও পরা স্যান্ডেল বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে এক জোড়া পুরনো স্যান্ডেল পায়ে বেরিয়ে যান তিনি। কিন্তু রাতে আর বাসায় ফেরেননি রুম্পা। স্বজনেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তার সন্ধান পাননি। পরে রমনা থানায় গিয়ে রুম্পার মরদেহের ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করেন স্বজনরা।

রুম্পার লাশ শনাক্ত হওয়ার পর স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একে হত্যাকাণ্ড দাবি করে তার বিচারের দাবিতে সড়কে নামেন। তাদের মুখে আসে সৈকতের নাম।

ডিএস/এএইচ

 

 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ